শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তবে পশুর চামড়ার আশাব্যঞ্জক দাম পাননি কেউই। আর তাই তুলনামূলক গতবারের থেকে এবার বরিশাল নগরের মাদ্রাসায় ফ্রিতে চামড়া দিয়েছেন।আর মাদ্রাসার সংগ্রহের প্রতিটি কাঁচা চামড়া ১২০ থেকে ২০০ টাকার ওপরে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গড়ে প্রতিটি চামড়া ১৫০ দামে বিক্রি করছেন নগরের মাদ্রাসাগুলো।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যতো দ্রুত পারছেন চামড়াগুলো পাইকারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন।বরিশাল নগরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা আদনান জানান, প্রতিবছর গরুর দাম বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় চামড়ার দাম কমছে। আর এ কারণে আগের মতো পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে কাউকে কাঁচা চামড়া কিনতে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়ও যেখানে চামড়া বিক্রি হয়েছে সেখানে ১৮০ টাকা, ভাবাই যায় না। তাই ভাগের সবাই মিলে চামড়া গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসায় দিয়েছেন।তবে কয়েকজনের সঙ্গে চামড়ার দামের বিষয়ে কথা বলে জানা গেছে, তারা বড়-ছোট হিসেব না করে চামড়া প্রতি ১৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বলছেন।নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার মাসুদ সিকদার বলেন, চামড়ার দর নেই, তেমন কেউ কিনছেনও না। তাই বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় ছাগলের চামড়াটি ফ্রি দিয়েছি। এখন যদি মাদ্রাসা ওয়ালারা কিছু পায়।
তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও হতাশা প্রকাশ করেছেন। নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, এবার তেমন কারোই চামড়া নেওয়ার আগ্রহ নেই। প্রতিটি দাম ১২০ থেকে ১৮০ টাকার ওপরে কেউ দাম বলছে না। খালেদাবাদ কলোনির একটি মাদ্রাসার লোকজন ১৮০ টাকায় তাদের সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরাও আগে থেকে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনিও বেশি দাম দিয়ে নিতে রাজি নন। যারা এখন পর্যন্ত আমাদের মাদ্রাসায় চামড়া দেখতে এসেছেন তারা আকার আকৃতি না দেখে পিস প্রতি গড়ে ২০০ টাকার ওপরে দিতে চাননি। এখন ঠিক করেছি দিয়ে দেবো, পরে যদি কেউ নিতে না চায় তবে আমাদের শ্রমটাই বৃথা।
নগরের নবগ্রাম রোডের একটি মাদ্রাসার সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ চামড়ার ভালো দর ওঠাতে পারেননি। তবে গতবারের থেকে এবার মাদ্রাসায় ফ্রি চামড়ার সংগ্রহ বেড়েছে। মাদ্রাসা ওয়ালারাও ভালো দাম পাবে বলে মনে হচ্ছে না।তবে নগরের চৌমাথা ও নবগ্রাম রোড এলাকায় কিছু কিছু মাদ্রাসা সর্বোচ্চ ৪০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply